অনুকূল পরিবেশ, যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়া, উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে হালদার দুই পাড়ে বেড়ি বাঁধ ও ব্লক নির্মাণের কারণে এবার মা মাছ কম ডিম ছেড়েছে বলে মত হালদা বিশেষজ্ঞ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের। তবে আশানুরূপ ডিম সংগ্রহের দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
নিয়মানুযায়ী বর্ষাকাল শুরু হওয়ার আগে ডিম ছাড়তে হালদা নদীতে আসে রুই জাতীয় মা মাছ। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের পর পাহাড়ি ঢলের পানি নদীতে এলে ডিম ছাড়ে তারা।
গত বছর হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল ২২ হাজার ৬'শ ৮০ কেজি। এবার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জেলেরা মাত্র ৭ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। নির্ধারিত সময়ে ভারি বর্ষণ না হওয়ার পাশাপাশি হালদা নদীর দুই পাশে বেড়ি বাঁধ নির্মাণসহ নদীতে ব্লক ফেলার কারণে এবার মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে বলে অভিমত হালদা বিশেষজ্ঞ ও মৎস্য কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল আলম বলেন, 'ব্লক ফেলার কারণে জেলেরা ব্লকের ওপাশে জাল বা নোঙ্গর ফেলতে পারিনি।'
তবে চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের দাবি, আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ হয়েছে। তিনি বলেন, 'গত বছরের তুলনায় এবার ডিম সংগ্রহ কম হলেও গত ১০ বছরের সঙ্গে তুলনা করলে আশাব্যঞ্জক বলবো।'
অন্যদিকে নদী থেকে সংগৃহীত ডিম বিভিন্ন হ্যাচারিতে রেনু ফোটানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডিম আহরণকারীরা।
২০১৭ সালে ১ হাজার ৬'শ ৮০ কেজি ও ২০১৬ সালে মাত্র ৭'শ ৩৫ কেজি ডিম সংগৃহীত হয়।
No comments:
Post a Comment